নাদিয়া আক্তার নিয়ারুন, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশাকে সাইট দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় মহিলাসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। তন্মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৬ জনকে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে সিলেট এম,এ,জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাইজিদ নামে এক হামলাকারীকে আটক করেছে। সোমবার (১৮ মে) রাত ৯ টার দিকে কমলগঞ্জের রাজটিলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার বিকেলে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন পল্লী চিকিৎসক মীর হোসেন। বিকেল ৫ টার দিকে কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশাকে সাইট দেওয়া নিয়ে টমটম চালক মনু মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয় মীর হোসেনের। তাৎক্ষনিক এ বিষয়টি মীমাংসা করেন স্থানীয় পথচারীরা।
এ ঘটনার জের ধরে রাত ৯ টার দিকে পল্লী চিকিৎসক মীর হোসেনের উপর রাজটিলা গ্রামস্থ তার নিজ বাড়ির সামনে অতর্কিত হামলা চালায় টমটম চালক মনু মিয়ার নেতৃত্বে তার আত্মীয়স্বজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। হামলাকারীরা দা ও ক্ষুর দিয়ে মীর হোসেনের মাথা, ঘাড় ও পিঠে একাধিক আঘাত করে। তার চিৎকারে তার মাসহ ভাই এবং স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। হামলায় পল্লী চিকিৎসক মীর হোসেন, তার মা মিনু বেগম ছাড়াও আহত হয়েছেন আমজাদ মিয়া, আক্কাস মিয়া, আজাদ মিয়া, ইয়াছিন মিয়া। এসময় মীর হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা বেশ ক‘জন পথচারীও হামলাকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হন।
এতে ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ে তৃতীয় পক্ষ। ক্ষুদ্ধ এলাকার লোকজন হামলাকারীদের উপর চড়াও হলে আহত হন আরও বেশ কয়েক জন। এই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় তিন পক্ষের মোট ১২ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত পল্লী চিকিৎসক মীর হোসেন সহ ৬ জনের অবস্থার অবনতি ঘটায় তাদের সিলেট সিলেট এম,এ,জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
হামলার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯ টায় কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাজটিলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাইজিদ নামে এক হামলাকারীকে আটক করেছে।