পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় ১০ জানুয়ারী রোববার অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। এসময় তিনটি ইটভাটা বন্ধ করা সহ ১০টি ভাটায় জরিমানা করা হয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। ইট ভাটা গুলো বন্ধ করে দেয়ার কারণে ওই ভাটায় কর্মরত শতশত শ্রমিক কর্ম হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। শিল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকার যখন বিভিন্ন প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করেছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ইট ভাটা গুলোতে জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে অভিযান অমানবিক। ভূক্তভোগী শ্রমিকরা জানান, হঠাৎ করে আমাদের কর্মের পথ বন্ধ হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম হতাশায় ভূগছি। আমরা এব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম পাপুল বলেন, করোনার এই সঙ্কটকালীন মুহুর্তে ইট ভাটা গুলোতে অভিযান খুবই অমানবিক ও দুঃখ জনক।
এবিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ৩টি ইট ভাটা ধ্বংস ও ১০টি মামলায় ১৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জীবন না বাঁচলে কর্মসংস্থান দিয়ে কি হবে? পরিবেশ রক্ষা করে আগে জীবন বাঁচান তারপর কর্মসংস্থান। তবে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য ১০ জানুয়ারি রোববার জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. ফয়েজ উদ্দিনের ভ্রাম্যমান আদালত পলাশবাড়ী উপজেলায় তিনটি ইট ভাটা ধ্বংস ও ১০ টি মামলায় ১৬ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর, র্যাব-১৩ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, গাইবান্ধার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।