পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা) সংবাদদাতাঃ
গাইবানান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ক্লাষ্টারের অধীনে কাতুলী ১নং নব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ ব্যহত।এডহক কমিটি গঠন করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম।
প্রধান শিক্ষক সূত্রে জানা যায়,কাতুলী ১নং নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ ইং অর্থ বছরে পিইডিপি-৪ এর আওতায় মেরামত প্রকল্পে ভ্যাট বাদে ১ লক্ষ ৮০ হাজার,স্লীপ প্রকল্পে ভ্যাট বাদে ৪৫ হাজার,শিশু শ্রেণি উপকরন বাবদ ভ্যাট বাদে ৮ হাজার ৫’শ,দূর্যোগ কালীন উপকরন বাবদ ভ্যাট বাদে ৪ হাজার ২’শ ৫০ টাকা,মডেম বাবদ ভ্যাট বাদে ১ হাজার ৬৩ টাকা। মোট ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮’ শ ১৩ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়।
বরাদ্দকৃত টাকার মধ্য হতে এসটিডি একাউন্ট থেকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে ৯৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে প্রাক্কলন ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় চাহিদা মত সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার অহিদুজ্জামানের পরামর্শে এসএমসি ও ক্রয় কমিটির অধিকাংশ সদস্যের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পে বিদ্যালয় মাঠে মাটি ভরাট, নতুন বেঞ্চ তৈরী ১৫ জোড়া ও টয়লেট মেরামতে মোট ব্যয় হয়েছে ১লক্ষ ৭০ টাকা। বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে।
স্লীপ প্রকল্পে হাজিরা মেশিন, সোকেস সহ অন্যান্য মালামাল ক্রয়ে ব্যয় হয়েছে ৪৫ হাজার ২’শ টাকা।
শিশু শ্রেনির মালামাল, দূর্যোগ কালিন মালামাল ও মডেম ক্রয়সহ তিনটি প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০ টাকা।
বকেয়া টাকা সোনালী ব্যাংক পলাশবাড়ী শাখার এসটিডি(যৌথ) হিসাব নম্বরে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৩’শ ৫১টাকা জমা আছে।
মার্চ-২০২০ ইং ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ায় এবং সভাপতির অসহযোগিতার কারনে বকেয়া টাকা উত্তোলন করা সম্ভব না হওয়ায় বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যহত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার অফিসারের পরামর্শে ১০নভেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবান করা হয়।সভায় এডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে ১১নভেম্বর সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার অহিদুজ্জামানকে সভাপতি প্রস্তাব করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর এডহক কমিটি অনুমোদনের জন্য আবেদন দেয়া হয়। আবেদনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম আঃ ছালাম স্বাক্ষর করলেও অজ্ঞাত কারনে কমিটি অনুমোদন দেয়নি।
অথচ এডহক কমিটি গঠনের নীতিমালার ২.১৬ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে ” উপজেলা শিক্ষা কমিটি নির্বাচনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন করবে। ৩০ দিনের মধ্যে যদি কমিটি অনুমোদন না হয় কিংবা এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা পাওয়া না যায় তবে কমিটি অনুমোদিত হয়েছে বলে গন্য হবে।”
নীতিমালা মোতাবেক সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রস্তাবিত এডহক কমিটির সভাপতি অহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে
৬ ডিসেম্বর সভায় কাজ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন, ১৪ ডিসেম্বর অপারেটর পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম আঃছালাম কমিটি অনুমোদন হয়নি মর্মে অপরেটর পরিবর্তনে নিষেধ করেন।
প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম বলেন,
“সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারি শিক্ষা অফিসার অহিদুজ্জামান ও শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম আঃছালাম স্যার অজ্ঞাত কারনে এডহক কমিটি অনুমোদন না করে দিনের পর আমাকে হয়রানি করছেন। যাতে করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। আমি বিষয়টি প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারি শিক্ষা অফিসার অহিদুজ্জামানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,”আমি ২১ জানুয়ারী শিক্ষা অফিসারকে কমিটি অনুমোদনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানিয়েছেন একটু সমস্যা আছে।”
শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম আঃ ছালাম বলেন,”আমি শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়াম্যানের নিকট দুই দিন ফাইল পাঠিয়েছি ওনি মিটিং দেব দেব বলে দিচ্ছেন না,মিটিং দিলেই কমিটি পাশ হবে।”
এ ব্যাপারে শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন,শিক্ষা কমিটি নিয়ে একটু সমস্যা আছে,তবে অছিরেই সমস্যার সমাধান হবে।”