১৯০৩ সালে উড়োজাহাজ উড়িয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন দুই ভাই। ১০০ বছরের বেশি সময় পর বিশ্ব সম্ভবত আরেকটি বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে। গত বছর লাল গ্রহ মঙ্গলে পাঠানো হয়েছিল একটি মহাকাশযান। ‘ইনজেনুইটি’ নামের ওই যানটি আগামী বৃহস্পতিবার মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণ করতে পারে। তবে অভিযানটি সফল করতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কারণ, মঙ্গলে গ্যাসের স্তর পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি পাতলা। আবহাওয়াও বেশ বৈরী।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইনজেনুইটিকে হেলিকপ্টার বলা হলেও এটি আসলে দেখতে ছোট আকারের ড্রোনের মতো। ওজন ১ দশমিক ৮ কিলোগ্রাম (৪ পাউন্ড)। হেলিকপ্টারটিতে চারটি কার্বন ফাইবার পাখা রয়েছে। পাখাগুলো অনেক বেশি বড় এবং সাধারণ হেলিকপ্টারের পাঁচ গুণ বেশি দ্রুত ঘোরে, প্রতি মিনিটে ২ হাজার ৪০০ বার। মহাকাশযানটি মঙ্গলের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।
ইনজেনুইটির চারটি পা রয়েছে। যানটির মূল কাঠামো বাক্সের মতো দেখতে। এতে দুটি ক্যামেরা, কম্পিউটার ও দিকনির্দেশনার (নেভিগেশন) সেন্সর রয়েছে। মঙ্গলে রাতের পরিবেশ অনেক ঠান্ডা থাকে। ওই সময় তাপমাত্রা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। তাই যন্ত্রটি সচল রাখতে রাতে অনেক বেশি জ্বালানি শক্তির প্রয়োজন হয়। সে জন্য ব্যাটারি রিচার্জ করতে মহাকাশযানটিতে সোলার সেল লাগানো রয়েছে।
হেলিকপ্টারটি পারসিভারেন্স রোভারের ভেতরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রোভারটি মঙ্গলপৃষ্ঠে নামার পর হেলিকপ্টারটি ওড়ানোর চেষ্টা করা হবে।