সাঘাটা(গাইবান্ধা)সংবাদদাতা ঃ রংপুর সুগার মিল প্রতি বছর লোকসানের মুখে পড়ায় সরকার চলতি বছর মৌসুমের শুরুতেই বন্ধ করে দেয়ায় সাঘাটা ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকার শতশত আখচাষীরা বিপাকে পড়েছে। সময় মতো তাদের জমির আখ মিলে দিতে না পারায় জমিতে শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছে কৃষকরা। মিল থেকে ঋণ নিয়ে যারা আখ চাষ করেছে তারা ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে।
সাঘাটা গোবিন্দগঞ্জের আখ রংপুর সুগার মিল হয়ে জয়পুরহাট সুগার মিলে নেয়ার ব্যবস্থা করলেও সেখানেও নানান বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন চাষীরা।
সরেজমিনে শনিবার সাঘাটা উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়ি,ফলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গেলে দেখা যায়, শত শত বিঘা জমিতে আখের চাষ হয়েছে। আখ কাটার মৌসুম শেষ হতে চললেও অনেক কৃষকের জমিতে এখনো আখ রয়েছে। আবার অনেকেই তাদের জমির আখ মহিলা পুরুষ মিলে কাটছে। কেহ বা তাদের আখ কেটে রাস্তার উপরে ফেলে রেখেছে। যানবাহনের সংকটে কাটা আখগুলি খড়ির মতো শুকিয়ে গেছে।
এব্যাপারে আখ চাষী মালেক, সবুর,আয়েজউদ্দিন জানান, হঠাৎ মহিমাগঞ্জের রংপুর সুগার মিলটি সরকার বন্ধ করে দেয়ায় এক বছরি ফসল আখ নিয়ে বিপদে পড়েছি। আমরা এই আখ লোন নিয়ে আবাদ করেছি। এখন মিলটি বন্ধ হওয়ায় আখ জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। মহিমাগঞ্জে অবস্থিত মিলের মাধ্যমে তাদের আখ জয়পুরহাট সুগারমিলে নিলেও সেখানেও বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। আখ কাটার পর সেগুলো মিলে পৌছাতেও পারছেননা যানবাহনের অভাবে। সব মিলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছি।
তারা আরো বলেন, মিলে নেয়ার পর ১৪০ টাকা মন তাদের আখের মুল্যে নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী ক্ষেত থেকে একমণ আখে কাটতে ব্যয় হয় ৩০ টাকা। সেখানে থেকে রাস্তায় আনতে ১০ টাকা। রাস্তা থেকে মিলে নিতে যানবাহন খরচ প্রতি মণ ৩০-৩৫ টাকা। মিলে নিলে প্রতি মণে ঘাটতি ধরেন ৫-১০ কেজি। সব মিলে সারা বছর কষ্ট করে চাষাবাদ করে খরচ বাদ দিয়ে হিসেব করলে লোকসানের মুখে পড়েছি। মিল থেকে নেয়া ঋণ শোধ করা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি। বেশিরভাগ কৃষকই আখ বিক্রি করে মিলের ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাবেনা বলেও জানান।